Tuesday, March 16, 2010

৩৩. দুঃস্বপ্ন

লেখার সময়ঃ ১৬-১২-২০০১, রবিবার, রাত ১১.৩০ মিঃ

কোন একদিন ঘুমের ঘোরে আমি
যেন জানালার পাশে দাঁড়িয়ে
চেয়ে ছিলাম বাইরের ভুবনে, অচেতন মনে।
সামনে আমার সুদীর্ঘ ফুলবাগান
পড়ন্ত সাঁঝের বেলা, বসন্ত ঋতুতে
কোকিলের ডাক শোনার ইচ্ছে ছিল
কিন্তু সব ইচ্ছে কি পূরণ হয়?
কানে এসে বাধে ঝিঁঝিঁ পোকার হাহাকার
বিরক্ত হয়ে উঠে এমন, আর তক্ষনি
বাগানের মাঝে বয়ে যাওয়া মৃদুমন্দ হাওয়া
আমাকে এসে স্পর্শ করে যায়।
সেই স্পর্শে, সবকিছু ভুলে যায়
সামনে ভেসে উঠে এক মায়াবী মুখচ্ছবি।
হঠাৎ টেবিলের উপর চোখ পড়ে
পুরনো ফুলদানিটার দিকে,
কোন একদিন ফুল-পরীদের বেশে বাগান হতে
একটি গোলাপ রেখে তুমি
অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলে ঐ বাগানে।
একদিন বাসি গোলাপের পাপড়িগুলো ঝরে পড়েছে
তবু তুমি ঝরে পড়নি এ হৃদয় থেকে,
বারবার মনে পড়েছে শুধু তোমাকে।
তারপর যেদিন দেখা তোমার সাথে
এই অবুঝ হৃদয়ের হাহাকারে
বাগানে তোমাকে খুঁজতে গিয়ে দেখি,
সারাটা বাগান ভরে আছে ভালবাসার রক্ত গোলাপে
হঠাৎ তুমি সামনে এসে দাঁড়ালে
আর আমি, একটি গোলাপ তুলে
তোমার সামনে ধরতেই, তুমি বললে-

“এই হৃদয়ের সব ভালবাসা নিঃশেষ হয়ে গেছে
বাকী আছে শুধু তোমার হাত থেকে
একটি সাদা গোলাপ গ্রহণ করার ক্ষমতা”।

আমি নির্বাক, স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে
তবু শুধু তোমার চাওয়া পূরণ করার জন্য
সারাটা বাগানে সাদা গোলাপ খুঁজলাম,
কিন্তু, কথাও পেলাম না খুঁজে।
যা খুঁজে পেলাম তা হল-
কখনও সীমাহীন উত্তপ্ত মরুভূমিতে
আর কখনও গহীন অরণ্যের মধ্যে
যেন আমি একাকী, বেঁচে আছি
দুঃস্বপ্নের মত।।

সমাপ্ত