Tuesday, March 23, 2010

২৮. যদি কখনও জানতে পারি

লেখার সময়ঃ ০২-১২-২০০১, রবিবার, দুপুর ০৩.৩০ মিঃ

যদি কখনও জানতে পারি
তুমি ঐ কষ্টের মহাসাগর,
ঝাঁপ দেব তবুও সেই গর্ভে
সুখের কিনারা খুঁজে না পাই-
দেখব খুঁজে, তোমার দুঃখের গভীরতার সীমা।

যদি কখনও জানতে পারি
তুমি একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড,
হাত দেব তবুও সেই পিণ্ডে
স্পর্শ করার সুখ অনুভব করতে না পারি-
দেখব, তোমার ক্রোধের কত তেজ
আমাকে পোড়াতে পারো কিনা।

যদি কখনও জানতে পারি
তুমি ঐ আকাশের তারা,
তাকিয়ে রবো আমি অপলক দৃষ্টিতে
আর মুখ দিয়ে নয়, অন্তর দিয়ে
তোমার সাথে চুপি-চুপি কথা বলে যাব-
দেখব, তুমি মুখ ফিরিয়ে নাও নাকি।

যদি কখনও জানতে পারি
তুমি সন্ধ্যা-সাঁঝের বেলা উড়ে যাওয়া
নীড় হারা কোন পাখী,
ডাক দেব আমি এ হৃদয়ের
সমস্ত ভালবাসা-সিক্ত বানী
আর দু’চোখের অশ্রু বিসর্জন দিয়ে
স্ব-করুন সুরে, তোমার পানে চেয়ে-
দেখব, তুমি তা প্রত্যাখ্যান করে
উড়ে চলে যাও নাকি।

যদি কখনও জানতে পারি
তুমি ঐ পাহাড়ি ঝর্না,
লাফ দেবো তার চূড়া থেকে-
দেখব, তুমি আমার মত দুঃখী
নাকি পাহাড়ের মত নিষ্ঠুর,
আর তোমার চোখের জলের সাথে
ভেসে যাব আমি কতদূর।

যদি কখনও জানতে পারি
তুমি বাস্তবতা বলে কিছু নও
স্বপ্ন, শুধুই স্বপ্ন
প্রকৃতির কাছে হার মেনে নেব
এ বুকভরা সবটুকু ব্যথা মুখে এনে
ক্ষমা চেয়ে নেব-
তারপর, হারিয়ে যাব ঐ মহা-দিগন্তে
যেখানে একদিন সবাই হারিয়ে যাই
দূর হতে সে বহুদূর।।

সমাপ্ত