Showing posts with label স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক. Show all posts
Showing posts with label স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক. Show all posts

Thursday, April 7, 2011

কৌতুক নং - ০১৯

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

এক ব্যক্তি ইন্টারনেটে তার ডাক্তারের সাথে চ্যাট করছে।

ব্যক্তিঃ ডাক্তার সাহেব, খুব ঝামেলায় পড়েছি।
ডাক্তারঃ কি সমস্যা?
ব্যক্তিঃ আমার বউয়ের কানে সমস্যা হয়েছে। কথা শুনতে পাচ্ছেনা না।
ডাক্তারঃ আরে এটা কোনো সমস্যা না। ওষুধের নাম বলে দিচ্ছি। এটা খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তবে আগে বুঝতে হবে কতটুকু সমস্যা হয়েছে। আচ্ছা পরীক্ষা করা যাক।
ব্যক্তিঃ কিভাবে?
ডাক্তারঃ এক কাজ
করুন। ১০ মিটার দূর থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কি করে। যদি উত্তর না পান তবে ৮ মিটার দূর থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কি করে। এভাবে উত্তর না পেলে যথাক্রমে ৬, ৪ ও ২ মিটার দূর থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কি করে। এবারও না পেলে একেবারে কানের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন এবং কখন উত্তর পান তা আমাকে জানান।

এরপর ঐ ব্যক্তি তার বউয়ের ১০ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"-কোনো উত্তর নাই।
৮ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"-কোনো উত্তর নাই।
৬ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"-কোনো উত্তর নাই।
৪ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"-কোনো উত্তর নাই।
২ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"-কোনো উত্তর নাই।
এইবার একেবারে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"
এইবার বউয়ের রাগান্বিত গলা শুনতে পেল, "এই নিয়ে ৬ বার বললাম আলু আর পটল রান্না করি।

কৌতুক নং - ০১৭

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

মার্কেটে কেনাকাটার সময় এক ভদ্রমহিলাকে বলছেন এক লোক, ‘এই যে শুনুন।’
ভদ্রমহিলা: বলুন?
লোক: এখানে এসে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি?
ভদ্রমহিলা: স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছেন তো আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন কেন?
লোক: না মানে, আমি লক্ষ করেছি, যখনই আমি কোনো অপরিচিত নারীর সঙ্গে কথা বলতে নিই, তখনই কোথা থেকে যেন আমার স্ত্রী এসে হাজির হয়!

কৌতুক নং - ০১৬

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্ত্রী: আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি মনে হয় Jaan?
স্বামী: আরে সেতো মাত্র ১ সেকেন্ড মনে হয় Honey. চোখের পলকে কেটে গেল।
স্ত্রী: (খুশি হয়ে) আমার জন্য ১০,০০০ টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামী: আরে সেতো ১ টাকার মত। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রী: (ততধিক খুশি হয়ে) তা জানু আমাকে তোমার ১ টাকা দিতে পারবে এখনই?
স্বামী: (গম্ভির হয়ে) দাড়াও ১ সেকেন্ড পরে দেই।

কৌতুক নং - ০১৫

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্ত্রী: আচ্ছা, তুমি সব সময় অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগে করে আমার ছবি নিয়ে যাও কেন?
স্বামী: অফিসে যখন আমি কোনো সমস্যায় পড়ি, তখন তোমার ছবিটি বের করে দেখলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, বুঝলে?
স্ত্রী: তাই নাকি! তাহলে দেখো, তোমার জন্য আমি কতটা সৌভাগ্যের!
স্বামী: হুম, আমার যখন সমস্যা আসে, তখন তোমার ছবি বের করে দেখি আর নিজেকে বলি, তোমার চেয়ে তো বড় কোনো সমস্যা পৃথিবীতে থাকতে পারে না। আর সঙ্গে সঙ্গে ছোট সমস্যাগুলো আর আমার কাছে সমস্যা বলে মনে হয় না।

কৌতুক নং - ০১৪

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীর গালে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দিলেন।

স্ত্রী: কী! তুমি আমার গায়ে হাত তুললে?
স্বামী বেচারা ভেবে দেখলেন, আসলে কাজটা অন্যায় হয়ে গেছে। তাই একটু নরম সুরে তিনি বললেন, আরে না না, আমি তোমাকে ভালোবেসে চড়টা মেরেছি।
স্ত্রী তখন স্বামীর দুই গালে কষে দুইটা চড় লাগিয়ে দিলেন।
স্বামী : (থ হয়ে) তুমিও আমাকে...!
স্ত্রী : তুমি কি ভেবেছ আমি তোমাকে কম ভালোবাসি?

কৌতুক নং - ০০৯

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেছেন। ভদ্রলোকের স্ত্রী আগে কখনো ফুটবল খেলা দেখেননি।

স্ত্রী: সবাই মিলে বলটাকে লাথি মারছে কেন?
ভদ্রলোক: সবাই মিলে চেষ্টা করছে বলটিকে গোল করানোর জন্য।
স্ত্রী: কেন? বলটি তো এমনিতেই একেবারে গোল হয়ে আছে, আর কত গোল বানাবে।

কৌতুক নং - ০০৭

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

১ম বোনঃ জানিস তোর দুলাভাই য্তখন বাসায় না আসে আমি তার জন্য অপেক্ষা করি, ভাত খাই না!
২য় বোনঃ তাহলে তো তোমাদের সম্পর্ক অতি মধুর!
১ম বোনঃ আরে রাখ তোর সম্পর্ক! তোর দুলাভাই অফিস থেকে ফিরলে তাকে দিয়া ভাত রান্না করাই, তারপর খাই!

কৌতুক নং - ০০৮

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

দুই মহিলা এক জায়গায় বসে কথা বলছিলেন। কথা প্রসঙ্গে প্রথম মহিলা দ্বিতীয় জনকে বললেন-আমার স্বামী এতই আত্মভোলা যে বাজারে গেলে মাছ কিনবে তো তরকারি ভুলে আসবে, আর তরকারি কিনবে তো মাছ কিনবে না।
একথা শুনে দ্বিতীয় মহিলা বললেন-আমার স্বামী তো আর বেশি আত্মভোলা। সেদিন আমি বাজার করতে গিয়েছিলাম। রাস্তায় স্বামী আমাকে দেখে বললেন-কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম আপনাকে আমার পরিচিত মনে হচ্ছে এবং কোথায় যেন দেখেছি।

কৌতুক নং - ০০৬

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

রঞ্জু রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর রঞ্জু একটি ছাগল নিয়ে বাসায় এল।
এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ‘ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?’
রঞ্জু রেগে বলল, ‘বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!’
রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ‘আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।’

কৌতুক নং - ০০৫

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্ত্রী: অনেকক্ষন ধরে দেখছি তুমি আমাদের বিয়ের কাবিননামা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছ। কী খুজছ শুনি?
স্বামীঃ না মানে, তেমন কিছু না। মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখটা দেয়া আছে কি না দেখলাম।

কৌতুক নং - ০০৪

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

পৃথিবীর কোনো কিছুই মানুষের ওপর নির্ভর করে না। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ভাগ্য।
আমরা ছিলাম তিন বন্ধু। একসঙ্গে স্কুলে গেছি, এখন কাজ করি একসঙ্গে, বিয়ে করেছি একই দিনে। বিবাহিত জীবন অতিষ্ঠ লাগতে শুরু করে আমাদের একই সময়ে।
প্রথমজন একদিন তার স্ত্রীকে গলা চড়িয়ে বলে বসল, ‘চুপ করো তো! অন্তত এক মিনিটের জন্য!’
স্ত্রী হতভম্ব, প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেল এবং কী একটা ওলট-পালট হয়ে গেল তার ভেতর। সে অন্যদের শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো দেখতে পেতে শুরু করল। ঠিক এক্স-রের মতো। তাকে চটজলদি পাঠানো হলো খুব অভিজাত এক হাসপাতালে। চাকরিতে নিয়োগ পেল সে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করে। স্বামী পারলে তাকে কোলে করে নিয়ে বেড়ায়।
এই খবর পেয়ে দ্বিতীয়জন গলা চড়াল তার স্ত্রীর ওপর, ‘চুপ করো তো! অন্তত এক মিনিটের জন্য!’
স্ত্রী হতভম্ব, তারপর ঘোর কাটিয়ে উঠে বলল, ‘তুমি নিজে চুপ করো! গর্দভ কোথাকার!’
দ্বিতীয়জন প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেল এবং কী একটা ওলট-পালট হয়ে গেল তার ভেতর। সে অন্যদের শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো দেখতে পেতে শুরু করল। তাকে চটজলদি পাঠানো হলো খুব অভিজাত এক হাসপাতালে। চাকরিতে নিয়োগ পেল সে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করে এখন। স্ত্রী পারলে তাকে কোলে করে নিয়ে বেড়ায়।
একদিন আমি আমার স্ত্রীর ওপর গলা চড়ালাম, ‘চুপ করো তো! এখনই!’
স্ত্রী হতভম্ব তো হলোই না, ধীরগতিতে ফ্রাইপ্যান তুলে নিল হাতে…তারপর কষে হাঁকাল আমার মাথা বরাবর। মনে হলো, আমার শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো ছিঁড়ে গেল।
আমি এখন হাসপাতালে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে আমার চিকিৎসার পেছনে।
হায়রে ভাগ্য......।!

কৌতুক নং - ০০৩

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্ত্রীঃ জানো আজকে কতো বড় একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলাম!
স্বামীঃ আবার কি হলো?
স্ত্রীঃ আমি ঘড়িটার নীচে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ঘড়িটা ভেঙ্গে পড়ে গেলো। আর দু’সেকেণ্ড আগে পড়লেই আমার মাথায় পড়তো। ভাবো কি কাণ্ডটাই না হতো!
স্বামীঃ হুম, অনেক দিন ধরেই ভাবছি যে ঘড়িটা স্লো হয়ে যাচ্ছে।

কৌতুক নং - ০০২

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্বামী স্ত্রী বিছানাতে চুপচাপ বসে আছে-

স্ত্রী ভাবছেঃ সে আমার সাথে কথা কেন বলছেনা? সে কি অন্য কোন মহিলার কথা চিন্তা করতেছে? আমার মুখে কি ভাজ পড়ে গেছে? অসুন্দর লাগছে? তার কি আর আমাকে ভালো লাগেনা? আমার মেকআপ কি আর ওকে আকৃষ্ট করতে পারছেনা? সে কি আমার কোন কথাতে বিরক্ত?...?

লোকটা ভাবছেঃ আশরাফুল রে BPL এর আইকন প্লেয়ার কেন করলো? আর প্লেয়ার পাইলনা।

কৌতুক নং - ০২৫

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

নতুন বউ ঘরে আনার পর স্বামী চিন্তিতভাবে তার স্ত্রী কে বললো-

স্বামীঃ আমার বেতন ২৫০০০ টাকা, তোমার কি এতে চলবে?
স্ত্রীঃ হ্যা, এ দিয়ে আমার চলে যাবে, কিন্তু তোমার কি হবে?

কৌতুক নং - ০১৮

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

কাজের জন্য ৫ মাসের জন্য ইতালী যাচ্ছে স্ত্রী। তার স্বামী তাকে এয়ারপোর্টে পৌছে দিলেন এবং তার শুভযাত্রা কামনা করলেন।
তার স্ত্রী ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন "তোমার জন্যকি আনব?"
উত্তরে তার স্বামী হেসে বললেন "একজন ইটালী মেয়ে!"
স্ত্রী কিছু না বলে চলে গেলেন। ৫ মাস পরে তার স্বামী আসলেন তাকে রিসিভ করতে।
স্বামীঃ যাত্রা কেমন হল?
স্ত্রীঃ চমৎকার। ধন্যবাদ!
স্বামীঃ আমার উপহার এর কি হল?
স্ত্রীঃ কোন উপহার?
স্বামীঃ ঐ যে আমি একটা ইটালীয়ান মেয়ে চেয়েছিলাম।
স্ত্রীঃ ওহ, ঐটা! হ্যা, আমি যতটুকু পেরেছি করেছি, আল্ট্রাসনো করে নিশ্চিত হয়েছি আগামী ৫ মাসের ভিতর তুমি একটা ইতালী মেয়ে পাবা।

কৌতুক নং - ০২০

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই। বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন। বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।

‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী। ‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’
স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল। খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট করতে শুরু করেছিলাম। তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’
স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’
স্বামী একটু থেমে বললেন, ‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’
‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’
স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম পুরাপুরি মুক্ত হয়ে যেতাম।’

কৌতুক নং - ০২১

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন—

স্বামী: পাশের ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে একটু চিনি নিয়ে এসো তো?
স্ত্রী: ওরা আমাদের চিনি দেবে না।
স্বামী: ওরা তো খুব কঞ্জুস!
স্ত্রী: ওদের কিপ্টেমির কথা আর বোলো না।
স্বামী: তাহলে আর কী করা; আমাদের আলমারি থেকেই চিনি বের করে চা করে নিয়ে এসো।

কৌতুক নং - ০২২

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে-

স্ত্রী: (ধমকের স্বরে) কোথায় তুমি?
স্বামী: প্রিয়তমা, তোমার কি সেই জুয়েলারির দোকানটার কথা মনে আছে, যে দোকানের একটা গয়নার সেট তুমি পছন্দ করেছিলে এবং বলছিলে, ‘ইশ্! যদি এটা কিনতে পারতাম?’
স্ত্রী: (গদগদ স্বরে) হ্যাঁ প্রিয়তম, মনে আছে!
স্বামী: আমি সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছি।

কৌতুক নং - ০২৩

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

বিমর্ষ এক ভদ্রলোক একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলেন। এক গ্লাস লাচ্ছি দিতে বললেন ওয়েটারকে। অন্য দিনের চেয়ে তাড়াতাড়িই চলে এল লাচ্ছির গ্লাস। খাবার আগে ভাবলেন, রেস্টুরেন্টের জানালা দিয়ে একবার বাইরের দুনিয়াটাকে দেখবেন। টেবিলে ফিরে এসে দেখলেন তাঁর লাচ্ছির গ্লাস অন্য একজনের হাতে। তিনি বেশ আয়েশ করে তাঁর সেই গ্লাস থেকে লাচ্ছি খাচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখে তিনি চেয়ারে বসে কাঁদতে শুরু করলেন।
সামনের লোকটি বিব্রত হয়ে বললেন, ‘প্লিজ, কাঁদবেন না, এক গ্লাস লাচ্ছিই তো; আমি আপনাকে দুই গ্লাস লাচ্ছি কিনে দিচ্ছি।’
শুনে তিনি বললেন, ‘আমি সে জন্য কাঁদছি না।’
তাহলে? জানতে চাইলেন ওই লোকটি।
তিনি বলতে শুরু করলেন, ‘ঘুম থেকে উঠেই বউয়ের সঙ্গে বিরাট ঝগড়া হলো; বাসে মানিব্যাগ ছিনতাই হলো; অফিসে গিয়ে শুনলাম চাকরি চলে গেছে; বাসায় ফিরে দেখি বউ বাপের বাড়ি চলে গেছে। এত কিছুর পর ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে রেস্টুরেন্টে এসে বিষ খাব বলে লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়েছি, সেটাও আপনি খেয়ে ফেললেন! আমার তো কপালটাই খারাপ!

কৌতুক নং - ০২৪

ধরনঃ স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক

করিম সাহেব এবং জরিনা বেগম স্বামী-স্ত্রী। দুজনের মধ্যে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছে না। দিনরাত ঝগড়া লেগেই থাকে। তাঁরা গেছেন একজন পরামর্শকের কাছে। সব শুনে পরামর্শক করিম সাহেবকে বললেন, ‘আপনাদের সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি। শুনুন, আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটবেন।’ এক সপ্তাহ পর করিম সাহেবকে ফোন করলেন পরামর্শক।

পরামর্শক: কী খবর করিম সাহেব, আছেন কেমন?
করিম সাহেব: আমি তো খুবই ভালো আছি! আপনার পরামর্শ কাজে লেগেছে।
পরামর্শক: বাহ! আপনার স্ত্রী কেমন আছেন?
করিম সাহেব: কী করে বলব? আমি তো বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে আছি!